টাইটেল দেখে চমকে গেলেন?ভাবছেন হয়তো বা এ আবার কোন পাগল?
আসল কথাটা তাহলে খুলে বলি।আজকের এই ব্লগটা হয়তো বা লেখা হতো না,যদি না
টিভিতে সাধারণ মানুষের কিছু কথা না শুনতাম।হুমায়ুন স্যারকে আমিও আপনাদের
মতই ভালবাসি,শ্রদ্ধা করি।স্যারের মৃত্যুতে আমাদের বাংলা সাহিত্যের যে
অপূরণীয় ক্ষতি হল তা পূরণ হতে হয়তো বা অনেক সময় লাগবে।বাংলা সাহিত্যে
হূমায়ূন স্যারের সবচেয়ে বড় অবদান
কি জানেন?বাংলাদেশে যখন পশ্চিম বাংলার
লেখকরা একচেটিয়া ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই হূমায়ূন স্যারের
আবির্ভাব।তিনি এসে তাদের একচেটিয়া ব্যবসায়ের ১২টা বাজিয়ে দিলেন।দেশী লেখকের বই পড়তে শিখলাম আমরা আজকে
টিভিতে দেখলাম এক সাংবাদিককে একজন বলল সে আজ বই মেলায় আসবে না।কেন ভাই? বই
মেলায় আসবেন না কেন?হুমায়ূন স্যারের এত বড় কাজটার আপনি মূল্যায়ন করবেন
না?হুমায়ূন স্যার কিন্তু সব সময় নতুনদের মূল্য দিত।তাঁর চলচ্চিত্রগুলো
খেয়াল করলে দেখবেন সে নতুনদের প্রাধান্য দিয়েছেন।তিনি বাংলা সাহিত্য জগতে
যেই নতুন ধারা এনে প্রাণের সঞ্চার করেছেন সে তো আমাদেরই ধরে রাখতে
হবে।হূমায়ন স্যার কে হয়তো বা আমরা আর ফিরে পাবো না।কিন্তু তাই বলে
"হুমায়ূন" যে আর হবে না তাতো নয়।কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র যেই শ্রীকান্ত
চরিত্রের সৃষ্টি করেছিলেন অনেকেই বলে থাকে তারই মর্ডান ভার্সন হিমু।তাই
আমিও আশা করি বাংলাদেশে হয়তো বা হিমু চরিত্র আর আসবে না,কিন্তু হিমুর চেয়ে
ভালো আসবে না তাতো বলা যায় না।প্রতিনিয়ত মানুষ তাঁর নিজের প্রতিভার বিকাশ
ঘটাচ্ছে।তাই অসম্ভব কিছুই নয়।
চার্লস
ব্যাবেজ কম্পিউটার আবিষ্কারের জন্য একটা পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন।তার মৃত্যতে
কি কম্পিউটারের আবিষ্কার থেমে থেকেছিল?হ্যাঁ কিছুটা সময় থেমেছিল।চার্লস
ব্যাবেজের সম্পর্কে একটা মজার তথ্য আপনাদের জানাতে পারি।স্যার চার্লস
ব্যাবেজের চিন্তা-ধারা ছিল ১০০ বছরেরও আগাম চিন্তা।তার সময় তৎকালীন অনেক
বিজ্ঞানীই তাঁর আবিষ্কৃত তত্ত্ব শুনে তাঁকে পাগল বলত। তারপর...।? তারপরের
ইতিহাস আমরা সবাই জানি।বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদের সাফল্যের ফলে কম্পিউটার
আজ এই অবস্থানে আছে।
হুমায়ূন
স্যারও আমাদের সঠিক পথ দেখিয়ে গেছেন।তার পথ অনুসরণ করেই আমাদের হিমু/মিসির
আলী/শুভ্রকে খুঁজে বের করতে হবে।আমাদের মাঝেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের
হূমায়ূন।ভবিষ্যতের এই হুমায়ূনের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ আমাদেরই করে দিতে
হবে।এত কথা বলার ঐ একটাই কারণ,বই মেলায় যাবেন,আর নতুন হুমায়ূনকে খুঁজে বের
করতে হবে।
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল যেমন আমাদের হৃদয়ে আজীবন
বেঁচে আছে,হুমায়ূন স্যারও বেঁচে থাকবেন।তাই হিমু আবারও খালি পায়ে বের হবে
রাতের আকাশে জ্যোৎস্না দেখতে,মিসির আলী তাঁর অমীমাংসীত রহস্য সমাধান
করবে,শুভ্র তাঁর মোটা চশমা আবার চোখে পড়বে।এরা প্রত্যেকেই আসবে এক
ভিন্নরূপে।
Next
Newer Post
Previous
This is the last post.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment