বহু কষ্ট লইয়া লিখিতে বসিলাম।কষ্ট শেয়ার করিলে নাকি কমে।তাই কষ্টখান কমাবার উদ্দেশ্যেই …।। ধানাই-পানাই করতে পারুম না।ডাইরেক্ট মূলপ্রসঙ্গে 
কলেজে ১ম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ইচ্ছা ছিল কলেজ সকল সুবিধা ভোগ করিয়া ছাড়িব।সেই লক্ষ্যে,


 ✔কলেজে ফাঁকি দিয়াছি,ক্লাসে গপ্প করিয়া বেঞ্চির উপর দাড়াইছি।

✔J.K স্যারের ক্লাসে ইংরেজি বই না আনিয়া সসম্মানে এটেন্ডেন্স কাটিয়া ক্লাসরুম হইতে বাহির হইয়া ক্যান্টিনে চা পান করিয়াছি।

✔ফ্লোরেন্স ম্যামের ক্লাসে(পুত্থম ক্লাস কিনা, সেই সক্কাল ৮.০০ ঘটিকায়!) লেট করিয়া আসি।

✔একাউন্টিং শীতল বাবুর ক্লাসে জব্বর ঘুম।

✔বাংলা মিজান স্যারের ক্লাসে মোবাইলে ফেবু চালানো ও জিটিএ মোবাইল ভার্সন খেলা। 

✔পরিসংখ্যান শরীফ ক্লাসে রোমাঞ্চকর গডফাদারের গল্পের বই পড়িয়াছি।

✔কম্পিউটার আজাদ স্যারের ক্লাসে খাতায় আঁকিবুঁকি করিয়াছি। 

✔কম্পু ল্যাবে নিজে ল্যাব না করিয়া বন্ধু-বান্ধবদের কাউরে বসায় দিসি।

✔পরিসংখ্যান ল্যাবে স্যারের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকিয়া স্যারকে বুঝাইসি আমি কিরাম
মনযোগী ছাত্র।কেবল এক কানে কিছু তার গুজা ছিল যা স্যারের দৃষ্টিগোচর হয় না।

✔কলেজের আইডি কার্ড না আনিয়া কেবল ফিতাখান দেখাইয়া দারওয়ানকে বুঝাইসি আমি ২ নম্বরি
করি না।

✔কলেজের সেন্ট-আপ-০১ পরীক্ষায় পরিসংখ্যানে অতিভালো মার্ক্স পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুরোধে আমি রেমেডিয়েল ক্লাস করিয়াছি।

সেই আমি কিনা ২য় বর্ষে সরাসরি উঠিয়া গেলাম!!!
এইডা কি হইল? কলেজে ফেল করিলে/ল্যাব ক্লাস অতিরিক্ত মিস করিলে/ক্লাসে উপস্থিতির হার ৮৫% এর নিচে থাকিলে সেই সক্কল ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্টদের কলেজ থেকে বিশেষ কাজ করার সুবিধা প্রদান করা হয়।
আমি এই বিশেষ সুবিধাগুলান হইতে বঞ্চিত হইলাম। আজকে কলেজে গমন করিয়া যখন নিজ দলভুক্ত বান্ধবদের দেখি,সকলে একসাথে কলেজের কল্যাণে ইট ভাংগিতেছে/কলেজের মাঠের ঘাস কাটিতেছে/টয়লেট পরিচ্ছন্ন করিতেছে।তখন ইহা দেখিয়া আমার পরাণ কান্দে।

কলেজের প্রতি ইহাদের কত্ত অকৃত্রিম ভালোবাসা।চোখ জুড়ায় যায়।আমি এই ভালোবাসা প্রদর্শন করিতে পারলাম না।তাহাদের গলার সাথে গলা মিলিয়ে আমি বলিতে পারিলাম না “Why so serious?”  (ব্যাপক কান্দোনের ইমো!)
ধিক মোরে ধিক।

0 comments:

Post a Comment

 
Top